আরমানিটোলায় আগুন : এজাহারভুক্ত আসামি ফিরোজের জামিন
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজি মুসা ম্যানসনের কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি শহিদুল ইসলাম ফিরোজের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বু্ধবার (৯ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের ভার্চুয়াল আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাজি মুসা ম্যানশনের নিচতলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি টিম প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা থানা পুলিশের সহায়তায় বিল্ডিংয়ের ভেতরে প্রবেশ করে আহতাবস্থায় ২১ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে বিল্ডিং তল্লাশি করে তিনজন পুরুষ ও একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় প্রধান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
হাসপাতালের মর্গে রাসেল (২৮), সুমাইয়া (২২), অলিউল্লাহ (৪৫) ও কবিরের (৪০) মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহ ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়। মুসা ম্যানশনের মালিক মোস্তফা আহম্মেদসহ অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা মুসা ম্যানশনের নিচতলায় দাহ্য পদার্থ এবং কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান বা গোডাউন হিসেবে তাচ্ছিল্যভাবে ব্যবহার করে। কেমিক্যালের দোকান বা গোডাউনে আগুন লাগার ফলে ক্যামিকেলের বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে রাসেল, সুমাইয়া, আলিউল্লাহ ও কবিরদের মৃত্যু হয়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই বাড়িতে বসবাসরত আবাসিক ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে এবং ভাঙচুর হয়ে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আসামিরা তাচ্ছিল্যভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আবাসিক স্থলে দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যাল সংরক্ষণের জন্য দোকান বা গোডাউন ব্যবহার করে অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটিয়ে এবং ক্ষতিসাধন করে পেনাল কোড আইনের ৩০৪(ক)/৩৩৭/৪২৭ ধারায় অপরাধ করেছে।
জেএ/ইএ/এমএস