৩৮ দিনে ভার্চুয়ালি সাড়ে ৬০ হাজার আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ০৯ জুন ২০২১
প্রতীকী ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে ভার্চুয়ালি শুনানি করে মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত ৩৮ কার্যদিবসে সারাদেশের নিম্ন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ৬০ হাজার ৪৮৯ জন আসামি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

বুধবার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল হতে ৮ জুন পর্যন্ত মোট ৩৮ কার্যদিবসে সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ১৭ হাজার ৬৯১টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এতে মোট ৬০ হাজার ৪৮৯ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার (৮ জুন) সারাদেশে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে দুই হাজার ৬৩৮টি ফৌজদারি মামলার জামিন দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং এক হাজার ২৩৫ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে কারামুক্ত হন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।

এতে বলা হয়েছিল, মহামারি করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করতে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

‘প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিননামা দাখিল করতে হবে।

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

এফএইচ/এআরএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।