‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আরও সাত দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালতে তার দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ সময় রফিকুল ইসলাম কারাগারে ছিলেন। তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। এরপর আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তার ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষ বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৫ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন গাজীপুরের আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের করা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে বিস্ফোরক মামলায় রফিকুল ইসলামের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাই।
বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৫ মার্চ মোদিবিরোধী মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপর গত ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একই আইনে গাজীপুরের বাসন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
এছাড়া ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
জেএ/এমএইচআর/এমকেএইচ