প্রতারণার মামলায় রিমান্ডে মডেল স্বর্ণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১

প্রতারণা করে সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১১ মার্চ অভিনেত্রী স্বর্ণাসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম। মামলার পরদিন স্বর্ণা, তার মা শেইলী, ছেলে আন্নাফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বাদী কামরুল উল্লেখ করেন, তিনি রোমানার বাসায় কয়েকদিন অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবে যাওয়ার পর প্রথম দিকে রোমানা বাদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তিনি রোমানাকে নিয়মিত সাংসারিক খরচ দিতেন। চার-পাঁচ মাস পর বাদী কামরুল সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, রোমানা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে এবং দেখা করতে অস্বীকৃতি জানাযন। এ বিষয়ে বাদী রোমানার পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারাও তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। স্বর্ণার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে ফ্ল্যাট ও গাড়ি বুঝিয়ে দিতে বললে সেসব নেই বলে বাদীকে জানান।

২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন কামরুল। মামলার পর স্বর্ণা টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্ল্যাট ও গাড়ি ফেরত দিতে চাইলে মামলাটি প্রত্যাহার করে সৌদি আরব ফিরে যান কামরুল। চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে কামরুল বাংলাদেশে এসে ফোন করলে লালমাটিয়ার বাসায় যেতে নিষেধ করেন স্বর্ণা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ফোন করলে স্বর্ণা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। মোহাম্মদপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ওই বাসায় যান। বাসার সিকিউরিটি জানায়, রাত আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিটে স্বর্ণা বাসায় ফিরেছে। পরে পুলিশ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেন।

জেএ/এএএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।