এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১

চলমান লকডাউনের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বন্ধ চেয়ে করা আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের এক সদস্যের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী জাগো নিউজকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে গত ১৪ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশনের পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়া এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (ইসি) কাছে একটি আবেদন করা হয়। পৃথক ওই দুটি আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে আবেদন করি।

আগামী ৫ মে এফবিসিসিআই ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ করার দিন নির্ধারিত আছে। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ফুড স্টাফ ইমপোর্টার অ্যান্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন।

সম্প্রতি এফবিসিসিআই একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করে যেখানে আনোয়ার হোসেনের নাম নেই। এ কারণে বাণিজ্য বিধিমালা ১৯৯৪ এর রুলস অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংশোধন চেয়ে দরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন আনোয়ার হোসেন।

রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ এপ্রিল) একই আদালত এফবিসিসিআইয়ের ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে তৈরি করা ভোটার তালিকা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

গত ১৩ মার্চ প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সংশোধনসাপেক্ষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ২৪ মার্চ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পরিচালক পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ৩১ মার্চ। ৮ এপ্রিল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১১ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিন। ১৫ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২১ এপ্রিল ছিল প্রত্যাহারে শেষ দিন।

এফএইচ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।