অন্তর্বর্তী আদেশ ও সব জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবে চলমান লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন মামলায় পাওয়া সব আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে- সেসব মামলার জামিন এবং সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে সব আসামিদের জামিন দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এদিকে, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছে- ‘প্রাদুর্ভূত মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উক্ত সময়ে (সাপ্তাহিক ছুটি ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২১ সালের বর্ষপঞ্জিতে ঘোষিত ছুটি ব্যতীত) বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০” এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ হতে প্রদত্ত জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জামিননামা দাখিল করতে হবে।’

এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এফএইচ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।