খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ ডিসেম্বর


প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। দুই সাক্ষীর জেরা শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই আদেশ দেন।
 
দেশে ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় আদালতে অনুপস্থিতির জন্য মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, সুস্থ হয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখে তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে হাজির হতে পারেন।

এর আগে মামলায় কয়েকটি ধার্য তারিখে বিদেশে অবস্থান করার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। বৃহস্পতিবার আদালত খালেদার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীর জেরা ও নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।

এরপর মামলাটির ২০তম এবং ২১তম সাক্ষী (জব্দ তালিকার সাক্ষী) মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ডিএমডি মাইনুল ইমরান চৌধুরী, ২১ তম সাক্ষী মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক ডিজিএম (ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) জাকারিয়া খানের জেরার কার্যক্রম শেষ করেন।

সাক্ষীদের মধ্যে আরো যাদের জেরা শুরু করেছেন তারা হলেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এসইভিপি জিয়াউদ্দিন এম ঘুর্নি, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার কামরুজ্জামান এবং দুদকের দুই কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক ও সিরাজুল হককে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করবেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। ইতোপূর্বে মামলার ধার্য তারিখে এ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন।

এছাড়াও উচ্চ আদালতে ‘লিভ টু আপিল’ থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। তাকে আসামিপক্ষের জেরা অসমাপ্ত রয়েছে।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদেরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন। যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।

এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।