নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা : ইরফানের জামিন শুনানি আজ
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি আজ।
বিষয়টি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বৃহস্পতিবারের (১৮ মার্চ) কার্যতালিকায় (কজ লিস্ট) ১৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ এবং ইরফান সেলিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে সেই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন।
আদালতে ওইদিন ইরফানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল।
ওই দিন আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেছিলেন।
জামিন আবেদনের বিষয়ে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এর আগে বাড়িতে মদ এবং ওয়াকিটকি রাখার মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পেয়েছিলেন ইরফান। আর অস্ত্র ও ইয়াবার মামলায় আগেই জামিন হয়েছিল। বাকি থাকল মারধরের ঘটনায় করা মামলা। ঘটনার সময় গাড়িতে থাকার কথা স্বীকার করলেও মারধরে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছিলেন ইরফান। তার দাবি, ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা মারামারি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই নৌ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়িটি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর শুরু করলে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গাড়িটি সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের হলেও ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়েছে। পরে ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
এফএইচ/এমআরআর/এমকেএইচ