১৪ কার্যদিবসের মধ্যে চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে
চট্টগ্রামের রাউজানে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে ১৮ জনের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের আর কোনো বাধা রইল না। এখন ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে।
রোববার (১৪মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ইট ভাটার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাউজান থানার ১৮টি ভাটার মালিক আপিল করেন। আপিল বিভাগ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে, এমন ইটভাটার তালিকাও দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে দুই সপ্তাহ বেধে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ১৪ কার্যদিবস সময় বেধে দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
চট্টগ্রামের যে ৭১টি অবৈধ ইটভাটাকে এরই মধ্যে জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলোসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদফতরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন রিটকারী। আদালত সে আবেদনের শুনানি নিয়ে শেষবারের মতো সময় দিয়েছিলেন।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯)-এর ৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম