বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা দুই বই নিয়ে জালিয়াতি মামলার রায় সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১১ মার্চ ২০২১
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্হস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা রিটের জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার (১৫ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ হাইকোর্টে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক ছিল। পরে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ই-বই সরবরাহের নামে ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রকাশনা সংস্থা জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এছাড়া স্বাধীকা পাবলিশার্স নামের একটি প্রকাশনার বিরুদ্ধে আরও তিন কোটি ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এই দুটি প্রকাশনা সংস্থাই নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তির, যিনি একটি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নামে বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে প্রধান করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। পরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় আদালতে।

গত বছর ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগে যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছিল। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। যার মধ্যে তিনটি বই নিয়েই জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠে নাজমুল হোসেন নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ বইটির পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, অবাক করা বিষয় হলো এ দুর্নীতি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বই নিয়ে। এটা সহ্য করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, এ বইগুলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। আর এগুলোর ছাড় দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতাবিহীন বইগুলোর ছাড় পাওয়া সম্ভব না।

এফএইচ/বিএ/এএসএম/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।