রায় পড়ে শোনানো হয়েছে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি তাদের দুজনকে পড়ে শোনানো হয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ রায়ের কপি পড়ে শোনানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর, জেলার নেসার আলমসহ চার ডেপুটি জেলার শিরিন আকতার, মোহাম্মদ লাভলু, মাজহারুল ইসলাম ও সর্বোত্তম দেওয়ান।
রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে তারা রায় পড়ে শোনানোর জন্য কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমে সাকা ও পরে মুজাহিদকে রায় পড়ে শোনানো হয়। রায় পড়ে শোনানো শেষে রাত ১১টা ১০ মিনিটে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের কপি বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪২ মিনিটে কারাগারে পৌঁছায়। রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জামান ও সিনিয়র আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সালসহ ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রায় দুটি প্রকাশ করা হয়। রায় দুটিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
রায় দুটিতে স্বাক্ষরের পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুণাভ চক্রবর্তী কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে তাদের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রয়েছে। এখন রায় কার্যকরে আর আইনি বাধা নেই। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তারা।
জেইউ/এআর/বিএ