ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২১ মার্চ
নৌবাহিনীর এক অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ২১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। সে কারণে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এদিকে, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি অস্ত্র ও মাদক মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অভিযুক্ত করে এই দুই মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া, দুই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই দুই মামলায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রতি মঙ্গলবার হাজিরা শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জেএ/এসএস/জিকেএস