যশোরের মেয়র প্রার্থী মারুফুলকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ
যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো. মারুফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মারুফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং ফারজানা শারমিন পুতুল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট দেবাশিস দাস, মো. এমরান খান রনি, প্রজ্ঞা পরমিতা রায়, ব্যারিস্টার শাকিবুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নুসরাত ইয়াসমিন সুমাইয়া ও হাজী আনিসুর রহমান মুকুল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল মেয়র প্রার্থী হিসেবে মারুফুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এনসিসি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো. মারুফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলেড অথরিটি (জেলা প্রশাসক) বরাবর আপিল আবেদন করেন মারুফুল ইসলাম। আপিলেড অথরিটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ বহাল রাখেন। এরপর ওই আপিল আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মারুফুল।
আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে মারুফুলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে তাকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে মারুফুল ইসলামের যশোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনো বাধা রইলো না।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট পৃথক পৃথক কয়েকটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। এর পরদিন যশোর পৌরসভার এক মেয়র প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/ইএ/এমএস