দেশের টিলা রক্ষায় হাইকোর্টের রুল
দেশের টিলা রক্ষায় সু-ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে কুলাউড়ার মলাংগি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। এই আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেউ টিলা কাটলে তার দুই বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাগের ডগায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে মলাংগি টিলার একটি বড় অংশ কেটে রাস্তা নির্মাণ ও মাটি বিক্রি করলেও আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ সময় আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে দেশের টিলা সঠিকভাবে সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, কেউ টিলা কাটলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, কোনো এলাকায় টিলা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মলাংগি টিলা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সারা দেশের টিলা রক্ষায় মনিটরিংয়ের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য কেবিনেট ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সার্কুলার জারির জন্য নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এর আগে, আদালতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষে এ রিট করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র , জনপ্রশাসন, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ১৩ জন।
এফএইচ/এসজে/এমকেএইচ