তুরাগ তীরে বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই
রাজধানী ঢাকার গাবতলী এলাকা সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীর এলাকায় ইট, পাথর ও বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর ফলে, গাবতলীর তুরাগ নদীর তীর এলাকায় ওইসব ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই।
এ বিষয়ে ওই ব্যবসায়ীদের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন গঠিত আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আপিলকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শফিক আহমেদ ও কামরুল হক সিদ্দিকী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, গাবতলী এলাকা সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীরে ৫২.৩৬ একর সম্পত্তি সিটি করপোরেশনের লিজ গ্রহণ দাবি, দখল ও স্থায়ী লিজ প্রদানের দাবিতে ১৭৮ জন ইট, পাথর, বালু ব্যবসায়ী বহমুখী সমবায় সমিতি ২০০৮ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি ও স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। জমির মালিকানা সরকারের নামে রেকর্ড থাকলেও সিটি করপোরেশন উক্ত জমি লিজ দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়।
হাইকোর্ট ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৯ মার্চ রুল খারিজ করে রায় দেন। পরে ব্যবসায়ীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বারজজ আদালত সেটি স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ওই আপিল আবেদন খারিজ করে এই রায় দিলেন।
বিবাদী জেলা প্রশাসকের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতের শুনানিতে বলেন, ঢাকার চার নদী রক্ষায় ২০০৯ সালে হাইকোর্টের রায় অনুসারে গাবতলীর তুরাগ নদীর দখল উচ্ছেদ করতে গেলে স্থিতাবস্থার আদেশের কারণে প্রশাসন দখল উচ্ছেদ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের দায়ের করা রিট মামলায় নদীর দখল বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে ব্যবসায়ীদের লিজ সংক্রান্ত বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মালিকানায় না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এমনকি ভূমি মন্ত্রণালয়কে এই রিট মামলায় পক্ষ করা হয়নি। তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকারের নামে রেকর্ডকৃত জমি সিটি করপোরেশনের লিজ দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে গাবতলীর তুরাগ নদী এলাকায় বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই।
এফএইচ/এমআরআর/জেআইএম