ইসির বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের এখতিয়ার নিয়ে ভিন্নমত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ-সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তার তদন্তের যে দাবি তুলেছেন ৪২ জন নাগরিক, তাতে পুরনো বিতর্ক ফের সামনে এসেছে।

কেউ বলছেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে। আবার কেউ বলছেন নেই। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে ভিন্নমত।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এম আমিন উদ্দিনের মতে, সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন বিচারাধীন থাকায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্থগিত রয়েছে। ফলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যকারিতা নেই।

আর সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর তা স্থগিত করার সুযোগ নেই। কারণ এটি সাংবিধানিক বিধান।

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ-সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন ৪২ জন নাগরিক।

এর আগে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, যিনি নিজে এক সময় ইসির আইনজীবী ছিলেন। এই আইনজীবীই ৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিভিন্ন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসা অবসরপ্রাপ্ত সচিব আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।

চিঠিতে সাংবিধানিক এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন তো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নেই। সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্য ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট একটা রায়ের মাধ্যমে বলেছেন এটা অবৈধ। এটাতে ফেরত যেতে হবে। কিন্তু এর রিভিউ তো এখনো বিচারাধীন। তারা (৪২ জন নাগরিক) যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কথা বলছেন এটা তো এখন নাই।’

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কিাউন্সিল না থাকায় সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করছে না। আপনারা জানেন প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা আছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আছে। তারা এটা করতে পারেন। হয়ত এই অবকাশের পর আদালত খুললে এটা (রিভিউ আবেদন) শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে। রিভিউ যেহেতু এখনও বিচারাধীন আমি কিছুই বলতে পারব না যে শূন্যতা আছে।’

রিভিউ আবেদনের পর কি রায় স্থগিত করেছিল সর্বোচ্চ আদালত, যদি তা করা হয় তাহলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কিভাবে স্থগিত রয়েছে, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘রিভিউতে স্থগিতাদেশ লাগবে না। রিভিউ যখন করা হয়, তার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত, এটা তো কোনো রকম ফাইনালাইজ হয়নি। চূড়ান্ত পরিণতি পায়নি। এটা মাঝখানে আছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’

২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত জানিয়ে তাদের বিচারকাজ থেকে সাময়িক বিরত থাকতে বলেন।

উচ্চ আদালতের এই তিন বিচারক হলেন- বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার মতামতে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে তো কোনো বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। কি কারণে এটা করা হয়েছে সেটা কাউকে জানানো হয়নি। আমরা কেউ কিছু জানি না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে কি কথা হয়েছে সেটা তো আমরা বলতে পারব না।’

তাদের (তিন বিচারকদের) বিষয়ে কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এটা কোনো প্রক্রিয়ায় হবে। আইনে এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নাই।’

তবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যকর আছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিশ্চয়ই কার্যকর আছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্থগিত থাকার তো কোনো উপায় নাই। কারণ এটা সাংবিধানিক বিধান।’

সাবেক আইনমন্ত্রী ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার যৌক্তিকতা কি সেটা দেখতে হবে। একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চাইলেই অভিযোগ আনা যাবে না। তাহলে তো কথায় কথায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের কথা বলবে সবাই।

বর্তমানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর মামলায় রিভিউ আবেদনে আবেদনকারীর স্থগিত চাইতে হবে। আদালতও স্থগিত দিতে হবে। যদি আদালত স্থগিত করে থাকে তাহলে নাই। আর যদি স্থগিত না করে, তাহলে বিদ্যমান আছে।

আর ৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন পাঠানো আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্থগিত থাকলে এটা কেবল সাংবিধানিক শূন্যতাই না, এটা একটা অদ্ভূত পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, ‘এই ইন্টারপ্রেটেশন যদি হয় তাহলে দেশে এক অদ্ভূত পরিস্থিতি হবে না? অদ্ভূত এই অর্থে যে, সংবিধানে বিচারপতিদের বিষয়ে বলা অছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের ব্যপারে বলা আছে বিচারপতিরা যেভাবে অপসারিত হবেন নির্বাচন কমিশনারও সেভাবে অপসারিত হবেন।’

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ব্যাপারেও বলা আছে, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বিষয়েও ঠিক একইভাবে বলা আছে। বিচারপতিরা যেভাবে অপসারিত হন তারাও সেভাবেই অপসারিত হবেন।

‘দুদক আইনে দুদকের চেয়ারম্যান এবং দুদক কমিশনারদের ব্যপারেও এই প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে মানবাধিকার কমিশনের আইনেও একই কথা বলা আছে।’

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নাই, অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন ব্যাখ্যায় শাহদীন মালিক বলেন, ‘এখন তারা যতই অনিয়ম দুর্নীতি, অবিচার-অনাচার করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কোনো ধরনের ব্যবস্থা দেশে নাই। এটা কেবল সাংবিধানিক শূন্যতাই না, একটা অদ্ভূত পরিস্থিতি।

‘এই ব্যাখ্যায় ধরে নেওয়া হবে তারা আইনের ঊর্ধ্বে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কোনো আইন দেশে নাই। এটা হতে পারে না।’

শাহদীন মালিক বলেন, ‘আপনি চাকরিতে এসে যথেচ্ছা করবেন, আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো নিয়ম নাই এটা কি আইনের ইন্টারপ্রেটেশন (ব্যাখ্যা) হতে পারে? আইনের ইন্টারপ্রেটেশনের বেসিক প্রপোজিশন হলো ইন্টারপ্রেটেশনটা একটা অবাস্তবতার দিকে ঠেলে দেয়া যাবে না। আপনি এমন কোনো ইন্টারপ্রেটেশন দাঁড় করাতে পারবেন না যেটা অবাস্তব। সেই ইন্টারপ্রেটেশন করতে হবে যেটা বাস্তবসম্মত।’

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বিচারপতির সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।

ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনে সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধিও ঠিক করে দেওয়া হয়।

সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণের অংশে দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।

ওই রায় এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে ‘খাটো করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলেন সরকারের ভেতরে থাকা অনেক সংসদ সদস্যই।

তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিচারপতি সিনহা ২০১৭ সালে ৩ অক্টোবর থেকে ছুটিতে যান। তিনি দায়িত্বে না ফেরা পর্যন্ত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।

পরে ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। ছুটি শেষে ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে হাই কমিশানারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

এর আগে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন সংসদে বলেছিলেন, আদালত তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সংসদে আনা সংবিধান সংশোধন বাতিলের ওই রায় দিয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ সংশ্লিষ্ট অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল (এসজেসি) গঠনের আবেদন করেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

রাষ্ট্রপতিকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, ইসির বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ আছে। ‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে বক্তব্য দেয়ার নামে ২ কোটি টাকা, ইসিতে কর্মী নিয়োগে ৪ কোটি আট লাখ টাকা এবং নিয়মবহিভূতভাবে তিন কমিশনারের তিনটি গাড়ি ব্যবহারজনিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ কারণে আবেদনকারীরা ১১৮ (৫) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানান।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের ৯ আইনজীবী রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এরপর রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। এরপর রায়ের পুন:বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর থেকে রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে সর্বোচ্চ আদালতে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে সহকর্মীদের নিয়ে অক্টোবরের শুরুর দিকে ১১ সদস্যের কমিটি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যেটি এখনও বিচারাধীন।

এফএইচ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।