অন্তঃসত্ত্বা গার্মেন্টস কর্মী হত্যা : খুরশিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় গার্মেন্টস কর্মী অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা আক্তার হত্যা মামলায় আসামি খুরশিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায় বাতিলের আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
গত ৭ অক্টোবর সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার দুই বন্ধুর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ।
রায়ে স্বামী সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ওরফে টিপু এবং তার দুই বন্ধু শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আসামিরা সবাই কনডেম সেলে রয়েছেন।
এক যুগ আগে ২০০০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়েল ফার্ম গার্মেন্টসের কর্মী অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা আক্তারকে তার স্বামী মাসুদ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যান। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু। পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানী হলের পেছনে। সেখানে নিয়ে পেটে ছুরিকাঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করেন স্বামী ও দুই আসামি। হত্যার পর তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেয়া হয়। ফলে সাভার থানায় মামলা করে নিহতের স্বামী টিপু। তদন্ত শেষে ওই বছরই টিপুসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল টিপুসহ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর ওই রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের জেল আপিল শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় দেন সুপ্রিকোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রনিয়োজিত আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, স্ত্রী হত্যায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যু দণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে আসামিরা চাইলে রিভিউ করতে পারে।
রায়ের বিষয়টি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ। তিনি বলেন, তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। আর হত্যাকাণ্ডটি ছিল নির্মম প্রকৃতির। আদালত অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ফাঁসি বহাল রেখেছে।
এফএইচ/বিএ/জেএইচ/জেআইএম/এমএস