যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা : মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ইমনকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ ও আসামির আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. আব্দুর রশিদ।

২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই রায় দিয়েছিলেন। এরপর নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি।

আসামি আমিরুল ইসলাম ইমন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু ঝাকড়া গ্রামের মো. গফুরের ছেলে।

মামলায় বলা হয়, ১৯৯৯ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার দলুয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক অনটনে যাচ্ছিল তাদের দিনকাল। পরে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করেন এই দম্পতি।

রাজধানীর পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেকশনের ৫ নম্বর রোডের ৯৪৯ নম্বর ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা। চাকরি করলেও ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে আয়েশাকে প্রায়ই মারধর করতেন ইমন। যৌতুক দিতে না পারায় এক পর্যায়ে ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ইমন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বকর সিদ্দিক রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেফতার ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

এরপর ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে আমিরুল ইসলাম ইমন ও সৌরভ নামে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক। তবে রায়ে অপর আসামি সৌরভ খালাস পান।

এফএইচ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।