রফিক-উল হকের কৈশোর কেটেছে কলকাতায়

মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক মুহাম্মদ ফজলুল হক , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২০
ফাইল ছবি

কলকাতার চেতলায় লেখাপড়া করেছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। লেখাপড়ার হাতেখড়ি চেতলা স্কুলে। চেতলা স্কুলে রফিক-উল হকের পরিবারের সবাই পড়াশোনা করতেন। স্মৃতিবিজড়িত চেতলা স্কুলের কথা মনে করে তিনি আইন অঙ্গন থেকে নিজেই যেন সেই কিশোর কালের স্কুলেই ফিরে যাওয়ার কথা মনে করতেন। সেই স্কুলটিকে ঘিরে অজস্র স্মৃতি ছিল তার।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একবার স্কুলে পিকনিক হবে বলে চাঁদা দিয়েছিলেন রফিক-উল হক। এটা অবশ্য ১৯৪১ সালের ঘটনা। কিন্তু যেদিন পিকনিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেদিন মারা যান এক কবি। ফলে পিকনিক বন্ধ হয়ে যায়। সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ হন। এবং তিনিও। তারা বলতে থাকেন, কোনো এক কবি মারা গেছেন, এতে পিকনিক বন্ধ হয়ে গেল কেন?

পরে তারা সবাই জানতে পারলেন, যিনি মারা গেছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ওই ছোট্ট বয়সে তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচিত না হলেও এখন তিনি বুঝতে পারেন, কত বড় কবি তিনি।

রফিক-উল হক সময় সুযোগ পেলেই কলকাতার সেই বাড়িতে যেতেন, চেতলা স্কুলে একবার হলেও ঘুরে আসতেন। কী এক মায়াবী টান তাকে টেনে নিয়ে যেতো ওখানে। এখন সেই স্কুলে বড় বড় ভবন হয়েছে। অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ছেলেবেলায় দেখা সেই ছোট ও সাধারণ স্কুলের ছবিটিই তার মনের ফ্রেমে গাঁথা বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।