মির্জা ফখরুলের জামিন সংক্রান্ত রুলের শুনানি ৯ নভেম্বর


প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্থায়ী জামিন সংক্রান্ত জারি করা রুলের শুনানি ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি খসরুজ্জমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আজ আদালতের শুনানিতে ফখরুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বাবু নিতাই রায় চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাফিফ রউফ চৌধুরী ও সগির হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ফজলুর রহমান খান। পরে সাংবাদিকদেরকে এই তথ্য নিশ্চিত করে ফকরুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী।

এর আগে গত ২ নভেম্বর মির্জা ফখরুলকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরের দিন ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল নিম্ন (বিচারিক) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী।

গত ২১ জুন মির্জা ফখরুল ইসলামকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তিন মামলার জামিন আবেদন হাইকোর্টের জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছেন আদালত।

২ নভেম্বর সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২ নভেম্বর আবারও আট সপ্তাহ সময়ের আবেদন জানিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। এ আবেদন খারিজ করার ফলে মঙ্গলবারেই তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

গত ২১ জুন ওই তিন মামলায় ফখরুলকে জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। তার স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুলও জারি করেন আদালত। গত ২৯ জুন জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরে সেটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ তাকে তিন নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সুপ্রিম কোর্টের আদশ অনুযায়ী তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্নসমর্পণ করতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

তার আগে গত ১৩ জুলাই এ তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রেখে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। এর আগে গত ২৮ জুন পল্টন থানার দু’টি ও মতিঝিল থানার একটিসহ
নাশকতার অপর তিন মামলায়ও হাইকোর্টের জামিন আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। এরপর মুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান ফখরুল। দেশে ফিরে আবেদন জানিয়ে আত্মসমর্পণের মেয়াদ দু’দফা বাড়িয়ে নেন তিনি।

নাশকতার উস্কানি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি এসব মামলা দায়ের করে ওই দুই থানা পুলিশ। গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

এফএইচ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।