ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানা থেকে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন আবেদন না মঞ্জুরের পর এবার তার অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথমে ওসি প্রদীপের জামিন আবেদন ও পরে দুদকের সম্পদ জব্দের আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত পৃথক দুটি আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, ওই আদেশে জামিন না মঞ্জুরের পাশাপাশি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর অবৈধভাবে অর্জিত চার কোটি ছয় লাখ ৭৮ হাজার টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, দুদকের পক্ষে আমরা তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেছি। আদালত তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় আটক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ এনেছে। ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্যবিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়েছে চুমকির বিরুদ্ধে।
প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেন বলেও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং এজাহারে বলা হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঘটনাস্থল বিবেচনায় মামলাটি করা হয়েছে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ।
সিনহা হত্যার পর থেকেই প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক। এর আগে এ মামলায় প্রদীপকে ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করা হলে আদালত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আরসি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।
আবু আজাদ/বিএ/এমকেএইচ
