সাখাওয়াতসহ ৯ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ নভেম্বর


প্রকাশিত: ০৭:০০ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পালাতক ছয় জন আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করার জন্য দুইজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দিন ঠিক করেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল মালুম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে সাখাওয়াতসহ নয়জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে’।

এছাড়া পালাতক ছয় আসমির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে মামলা পরিচালনা করার জন্য অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন ও অ্যাডভোকটে শুক্কুর আলীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে’।

এ মামলায় সর্বমোট ১২ জন আসামি ছিলো। এর আগে এ মামলার তিন আসামি আজহার মোড়ল ও আকরাম হোসেন এবং পলাতক মশিউর রহমানকে অভিযোগের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদেরকে অব্যাহতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলার প্রধান আসামি যশোরের কেশবপুর আসনের সাংসদ সাখাওয়াত হোসেনকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া যশোরের বিল্লাল হোসেন, লুৎপর মোড়লসহ আরো দুইজনকে গত ১২ মে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াতসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। অপর ৮ আসামি হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন (৭৫), মো. ইব্রাহিম হোসেন (৬০), শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান (৬১), মো. আ. আজিজ সরদার (৬৫), আ. আজিজ সরদার (৬৬), কাজী ওহিদুল ইসলাম (৬১), মো. লুৎফর মোড়ল (৬৯) ও আব্দুল খালেক মোড়ল (৬৮)।

গত ১৪ জুন তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগ আনেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করার জন্য নথিভুক্ত হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন আবদুর রাজ্জাক খান।

সাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য হন। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন সাখাওয়াত। এরপর ২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এরপর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতা তিনি।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।