বালিশকাণ্ড : ঠিকাদার শাহাদাতের জামিন বাতিল চায় দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ প্রকল্পের একটি ভবনের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাজিন কনস্ট্রাকশনের মালিক ঠিকাদার শাহাদাত হোসেনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

আবেদন করার বিষয়টি বুধবার জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ২৭ আগস্ট পাবনার আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। পরে ওই রাতেই তিনি কাশেমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছি। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এটি উপস্থাপন করা হতে পারে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় এ ঠিকাদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক ও পাবনা কার্যালয় দুটি আলাদা দুর্নীতির মামলা দায়ের করে; যেখানে বলা হয় রূপপুর প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে আস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদক পাবনা কার্যালয়।

দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শাহাদাতের আইনজীবীরা পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওইদিন তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পে একটি বালিশ কিনতে ৫৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্ল্যাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এছাড়া একটি চুলা ক্রয়ে ৭৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে ৬৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি কিনতে ৪১৫৪ টাকা এবং তা তুলতে ২৯৪৫ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। এসব ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দুদক।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।