আত্মহত্যায় প্ররোচনা, এসআইকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার কনস্টেবল হালিমা খাতুন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর পর তার বাবার করা আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এসআই মিজানুল ইসলামের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, এসআই মিজানুলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে সঙ্গে মামলার নথিও তলব করেছেন আদালত। ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে গৌরীপুর থানার ব্যারাকে নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন কনস্টেবল হালিমা খাতুন। সহকর্মীরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়, সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় তার বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ একই থানার এসআই মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, মিজানুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে ওই বছরের ২৫ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলন করেন হেলাল উদ্দিন আকন্দ। সেখানে তার মেয়ের ডায়েরিতে থাকা কিছু লেখা সাংবাদিকদের দেখান। ওই লেখায় তার মৃত্যুর জন্য মিজানুল ইসলাম দায়ী উল্লেখ করে লেখা ছিল বলে তার বাবা উল্লেখ করেন।
এরপর বিচার শেষে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ও ৯ ক ধারায় অভিযোগ প্রসিকিউশন পক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের ৯ মার্চ ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত মিজানুল ইসলামকে খালাস দেন।
এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন হেলাল উদ্দিন আকন্দ। এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এসআই মিজানুল ইসলামকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং মামলার নথি তলব করেছেন বলে জানান আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
এফএইচ/এমআরএম