এমপি পাপুলের পদ কেন শূন্য ঘোষণা হবে না জানতে রুল
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংসদ সদস্যের পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান ও মো.সালাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামশাদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সামীউল আলম সরকার। এর আগে আদালতে রিটটি করেন ওই আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান ও সালাহ উদ্দিন রিগান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার (১৩ আগস্ট) হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিট আবেদনকারী লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। আদালত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন পাপুল। তিনি হলফনামায় স্নাতকোত্তর উল্লেখ করে জমা দিয়েছেন স্নাতক সনদ। এ মিথ্যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২(সি) এর লঙ্ঘন। তাই আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া রিট করেছেন। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
চলতি বছরের ৬ জুন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করেন। কুয়েত সিআইডি তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছে।
এফএইচ/এসএইচএস/এমএসএইচ/জেআইএম