পল্লবী থানায় বিস্ফোরণ : প্রতিবেদন ২৩ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম দুই মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিকে গ্রেফতার তিনজনের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় বুধবারের (২৯ জুলাই) বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে। সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ এক টুইট বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পুলিশের একটি দফতরে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
যদিও পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি জঙ্গি সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, স্থানীয় একটি অপরাধীচক্র কোনো অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করছিল সে সংবাদটি জানার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের ব্যাপারে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘ভোরে পল্লবী এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা হেফাজতে রাখা হয়। মিরপুর এলাকার একজন রাজনীতিক নেতাকে খুন করার জন্য তাদের ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারের পর তাদের থানায় আনা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র ও কিছু জিনিসপত্র জব্দ করে পুলিশ। এগুলো থানার ইন্সপেক্টর অপারেশনের রুমে রাখা হয়। জব্দকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে ওজন মাপার মেশিনসাদৃশ্য একটি বস্তু ছিল। সকাল ৭টায় হঠাৎ সেটি বিস্ফোরণ হয়।’
বিস্ফোরণে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তারা হলেন- ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব খান, শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) রুমি, শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) অঙ্কুশ। এছাড়া রিয়াজ নামে একজন অফিস স্টাফ আহত হন।
জেএ/এএইচ/এমএস