লঞ্চডুবি : ময়ূর-২ লঞ্চের সহকারী মাস্টার-গ্রিজার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন ও গ্রিজার হৃদয়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন তাদের দুজনকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে জাকিরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে হৃদয়কে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। হৃদয়ের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার (২৪ জুলাই) জাকিরকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর ঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) তাকে আটক করা হয়।

গত ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ফরাশগঞ্জ ঘাটের কাছে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের ছোট একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়।

জেএ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।