পাপুল দ্বৈত নাগরিক কি-না জানতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে কি-না, তা জানতে চেয়ে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বুধবার (২২ জুলাই) কুরিয়ারযোগে চিঠিটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু। তিনি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েতের ব্যবসায়ী ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আসন এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ওই দেশে জেলে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে কুয়েতের প্রচলিত আইনের বিধানমতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিশ্বে বাংলাদেশর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। একজন বাংলাদেশি নাগরিক কীভাবে বহির্বিশ্বে শতশত কোটি টাকার ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালিত করছে তা নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতূহল রয়েছে।
সংসদ সদস্য পাপুল কুয়েতের নাগরিক কি-না, এই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া তিনি দ্বৈত নাগরিক হলে বাংলাদেশের সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বৈধ সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকে কি-না, সে বিষয়েও জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠির বিষয়ে আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু বলেন, এমপি পাপুল দ্বৈত নাগরিক কি-না, সে বিষয়ে গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি।
মানবপাচারের অভিযোগে গত ৭ জুন কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (লক্ষ্মীপুর-২) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে সে দেশের জেলে পাঠানো হয়েছে। কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে বাংলাদেশের এই সংসদ সদস্যকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের সংবাদপত্র ‘আরব টাইমস’। তিনি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছেন।
এফএইচ/এসআর/জেআইএম