সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের সহকারী পরিচালককে রিমান্ডে নিতে আবেদন
অনুমোদন ছাড়া করোনা পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমানের আদালতে এই রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে করোনার চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র্যাবের একটি দল। অভিযানে অসহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র্যাব। হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকেও হেফাজতে নিয়েছে র্যাব।
কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম ৫০০ শয্যার সাহাবদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সম্প্রতি বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৯ জুলাই) হাসপাতালটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার র্যাপিড কিট টেস্ট, অ্যান্টিবডি নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ জুলাই) রাজধানীর গুলশান থানায় র্যাব বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। জালিয়াতির এই মামলায় হাসপাতালের আটক দু’জন ও পলাতক একজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪), সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত (৫২) এবং ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদির (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জেএ/এমএফ/এমকেএইচ