কারাগারে ডা. সাবরিনা
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই দফা রিমান্ড শেষে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনাকে হাজির করে পুলিশ। তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ জুলাই) তেজগাঁও থানার প্রতারণা মামলায় দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
যেভাবে এলো ডা. সাবরিনার নাম
গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজিন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে হিরু তাদের জানায়, সে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করত। সে স্বীকার করেছে, কোর্টেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে ভুয়া রিপোর্টের সাথে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। এরপর জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার সিইওকে পুলিশকে জানায় এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী।
জেএ/বিএ/জেআইএম