রিজেন্ট হাসপাতালের সাতজনের ৫ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেফতার সাতজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ জুলাই) তাদের সাতজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানায় তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। শুনানি শেষ ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তারা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও হাসপাতালের কর্মী আবদুর রশিদ খান জুয়েল।

অন্যদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম নামে এক আসামি শিশু হওয়ায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধীতে পাঠানোর আদেশ দেন।

করোনা পরীক্ষার জন্য আসা রোগীদের বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করানোর কথা থাকলেও টাকা নেয়া এবং নমুনার অর্ধেকের বেশি পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সেসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গ্রেফতারদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদলত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।

জেএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।