রাশেদ চিশতীর জামিন বিষয়ে নতুন চেম্বারজজ কোর্টে শুনানি আজ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানিতে অপারগতা জানিয়েছিলেন চেম্বারজজ আদালতের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান । এবার ওই আবেদনের শুনানির জন্য প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নতুন চেম্বারজজ কোর্ট গঠন করে দিয়েছেন।
এখন নতুন চেম্বারজজ আদালতের বিচারক হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতিব হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ (রোববার) জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের তিনটি এবং রাশেদ চিশতীর পক্ষে একটি মোট চারটি আবেদনের ওপর চেম্বারজজ আদালতে শুনানির জন্য ঠিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
গত ১৬ জুন রাশেদুল হক চিশতীর আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী। পরে তিনি আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে কী কারণে তিনি জামিন স্থগিতের আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেননি, সেটা জানা যায়নি। পরে প্রধান বিচারপতি এসব আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত ঠিক করে দেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জাগো নিউজকে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত আমাদের তিনটি আবেদন এবং রাশেদুল হকের পক্ষে একটি আবেদন চেম্বারজজ আদালতে শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু চেম্বারজজ আদালত আবেদনগুলো শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। ওইদিন তিনি আবেদনগুলো না শুনে তা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালতে শুনানির জন্য ঠিক করে দেন। আজ ওই চারটি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৭ মে রাশেদুল হক চিশতীকে এক মামলায় দেয়া জামিন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাশেদুল হক চিশতী।
এ ছাড়া আরও তিন মামলায় শর্তসাপেক্ষে গত ২ জুন জামিন দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তিন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক।
এর আগে, গত ১৯ মে রাশেদ চিশতীর একাধিক মামলায় ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে জামিন দিয়েছিল। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এসব শুনানি নিয়ে শর্ত দিয়ে বিচারিক আদালতের জামিন বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় রাশেদ চিশতীকে গ্রেফতার করা হয়।
এফএইচ/জেডএ/পিআর