ফজলুরকে গুলি করে হত্যা করে ননী ও তাহের : সাক্ষী শান্ত


প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৫

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক নেত্রকোনার রাজাকার ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনেবর ২২তম সাক্ষী শান্ত মিয়া (৬১) তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়াম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেন তিনি।

সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম শান্ত মিয়া। গ্রাম : মৌআটি, থানা : বারহাট্টা, জেলা : নেত্রকোনা। একাত্তরের ১৭ আগস্ট সকালে বাউশি বাজারে ২০/২৫ জন রাজাকার আক্রমণ করে। আমি সেদিন ওই বাজারেই ছিলাম। রাজাকাররা ৪/৫ জন লোককে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে হান্নান চৌধুরী ও আব্দুল হাইকে তারা মারপিট করে।

সাক্ষী শান্ত মিয়া বলেন, রাজাকাররা আটকৃতদেরকে রঞ্জন সাহার দোকানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিল। ননী ও তাহের ফজলুর রহমানকেও আটক করে। এবং বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে জখম করে। পরবর্তীতে বাউশি বাজার থেকে আটককৃতদের নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়। কিন্তু ফজলুর রহমানকে ননী ও তাহের পাক আর্মিদের হাতে তুলে দেয়। পাক আর্মিরা তার উপর অমানষিক নির্যাতন করে। পরে ননী ও তাহের ফজলুর রহমানকে ত্রিমোহনী ব্রিজের কাছে নিয়ে যায় এবং গুলি করে হত্যা করে। ট্রাইব্যুনালের আসামিরা সনাক্ত।

প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি সাক্ষীকে জবানবন্দীতে সহায়তা করেন।

এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আরো ২১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদেরকে জেরা শেষ করেন।

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।