ঠিকাদার বাশার হত্যা : দায় স্বীকার শফিকুলের
রাজধানী খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় ঠিকাদার আবুল বাশার তালুকদারকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শফিকুল ইসলাম। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৮ মে) দুই দিনের রিমান্ড শেষে শফিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক আরসেল তালুকদার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
খিলগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুন্সি কনস্টেবল নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ মে) অপর এজাহারভুক্ত আসামি শফিকুল ইসলাম শফিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে খিলগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে শফিকুলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি এলিন মোস্তাফিজ (২৬) একদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রোববার (১৭ মে) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় ঠিকাদার বাশার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক আরসেল তালুকদার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, খিলগাঁও এবং রামপুরা এলাকায় অবৈধ ইট, বালুর ব্যবসা এবং মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আবুল বাশার তালুকদার খিলগাঁও ও রামপুরা থানা এলাকায় ইট ও বালু সরবরাহের ঠিকাদারি করতেন। ইট, বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সাইফুল গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন আবুল বাশার গ্রুপ।
এরই প্রেক্ষিত ১৩ মে রাতে আবুল বাশার তালুকদারকে কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই উজ্জ্বল তালুকদার বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
জেএ/এফআর/এমকেএইচ