জরুরি বিষয় নিষ্পত্তিতে চেম্বারজজ ও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে একটি বেঞ্চ অতীব জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করার জন্য বসবেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আকবর আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতীব জরুরি বিষয়গুলো শুনানির নিমিত্তে ছুটিকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন।
তাছাড়া ছুটিকালীন সময়ে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সব অধিক ক্ষেত্রের অতীব জরুরি বিষয়গুলো শুনানির নিমিত্তে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আদালত পরিচালনার কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুনের বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালতও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে।
এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাদের বলেছেন, তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এরমধ্যে আবার সুপ্রিম কোর্টের ১৪ জন আইনজীবী সীমিত পরিসরে এক/দু’টি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে একটি বেঞ্চ গঠনে অপর দুই আইনজীবীও চিঠি দিয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও প্রধান বিচারপতি বরাবরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে জজ কোর্ট খোলার আবেদন করেছেন।
যদিও এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির এক বৈঠকের পর ১১ এপ্রিল এক নোটিশে জানানো হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এএফএইচ/এসএইচএস/এমকেএইচ