টাঙ্গাইলের সেই পেটুয়া কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা
করোনা পরিস্থিতিতে নিষেধ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের বেআইনিভাবে ও গণহারে পেটানোর অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মানুষ পেটানোর অভিযোগে আমিনুর রহমান আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জেআর খান রবিন। এখন তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কাউন্সিলর আমিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই ভিডিওটি নিয়ে সমালেচনার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, আমিন দলবলসহ বাজারে গিয়ে লোকজনকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই মোটা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন।
আগ বাড়িয়ে তার এই মারপিটের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমলোচনার মুখে তিনি অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এর পেছনে তিনি যুক্তি দেখান, টাঙ্গাইলের মানুষ অপ্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করছিল। এ কারণে আবেগে তিনি রাস্তায় নেমে লাঠিপেটা করেছেন। এতে ব্যক্তি উদ্দেশ্য হাসিলের কিছু ছিল না।
পরে করোনা পরিস্থিতিতে নিষেধ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের পেটানোর অভিযোগে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। গত ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন ই-মেইলের মাধ্যমে পুলিশের মহাপরিদর্শক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি এবং পৌরসভার মেয়রকে ওই পাঠান।
আইনজীবী রবিন বলেন, কাউন্সিলর জনপ্রতিনিধি হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। করোনার মধ্যে মানুষকে বোঝানোর পরিবর্তে নির্যাতন করে তিনি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তার নির্যাতনের শিকার হয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ নোটিশ পাঠিয়েছি।
নোটিশে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি এবং পৌরসভার মেয়রকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এফএইচ/এনএফ/এমকেএইচ