ফ্ল্যাটে চুরির কথা স্বীকার করেছেন অভিনয় শিল্পী জিসান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

কলাবাগান থানার সেন্ট্রাল রোডের একটি ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার মূলহোতা অভিনয় শিল্পী মো. হাসান (জিসান) ও তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন চুরির কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

অপরদিকে, গ্রেফতার মূলহোতা হাসানের সহযোগী ভ্যান চালক আব্দুল আলীম ও চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা লিখন শেখকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৩১ মার্চ ভোরে কলাবাগান থানার সেন্ট্রাল রোডের একটি ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোর চক্র। এ ঘটনায় ২ এপ্রিল কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দুইজনকে শনাক্ত করে।

পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৯ এপ্রিল দিনভর ধানমন্ডি, হাজারীবাগ এবং লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানান, এ চক্রের মূলহোতা মো. হাসান (জিসান) মূলত একজন অভিনয় শিল্পী। কয়েকটি নাটক এবং টেলিফিল্মে সে অভিনয় করেছে। তার অভিনিত শর্টফিল্ম, নাটক ও ভিডিওর জন্য নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। যার নাম Bayati bari (বয়াতি বাড়ি)।

তাকে প্রথম গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত অপর দুই সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন এবং ভ্যান চালক মো. আব্দুল আলীমদের নাম জানায় এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় জিসানের বাসা থেকে চুরি করে আনা চেইন, আংটিসহ কিছু স্বর্ণালংকার, নগদ ২০ হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। চুরি করা স্বর্ণ সে আজিমপুরের একজন এবং নারায়ণগঞ্জের একজনের কাছে বিক্রি করে বলে জানায়।

পরবর্তী সময়ে চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা মো. লিখন শেখকে তার আজিমপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বাসা থেকে একটি চুরি যাওয়া আংটি এবং চুরির ভাঙ্গা অংশ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

জেএ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।