করোনা মোকাবিলায় হ্যান্ডশেক না করার পরামর্শ প্রধান বিচারপতির
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবীদের সতর্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সতর্ক করে কিছু পরামর্শ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, কোর্টে লোক সমাগম যত কম করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে হ্যান্ডশেক না করা ও যতখানি সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
দেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পরপরই বাজারে স্যানিটাইজার ও মাস্ক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সোমবার (৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপিল বিভাগের এজলাসসহ চেয়ার-টেবিল প্রতিদিন সকাল বেলা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করা হবে। সবাই সাবধান থাকবেন। আমাদের বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু সরকার ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতে হবে। যেমন হ্যান্ডশেক না করা, যতখানি সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা হলেও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
এসময় একজন আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘আদালত বন্ধ করে দেয়া হোক।’ প্রধান বিচারপতি এর জবাবে বলেন, ‘না, সেটার প্রয়োজন নেই।’ এসময় একজন বললেন, ‘স্কুলগুলো ছুটি দিয়ে দেয়া হোক।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘না, সেটারও দরকার নেই। সরকারের নির্দেশ মোতাবেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকা। যথাসম্ভব বেশি জনসমাগমের ভেতর না থাকা।’
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদিকে করোনায় মাস্ক নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, মাস্ক ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। তবে মাস্ক নিয়ে পেঁয়াজের মতো ব্যবসা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদারকি করা দরকার, কেউ যাতে বেশি দাম না নিতে পারেন এবং মজুত না করতে পারেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে এসব কথা বলেন হাইকোর্ট। সোমবার (৯মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
এফএইচ/এমএফ/জেআইএম