বদির মামলা বাতিলের আবেদন ফেরৎ দিল হাইকোর্ট


প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আবেদন ফেরৎ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে দুনীর্তির মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এমপি বদির পক্ষে করা আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালতে এমপি বদির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান বদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার জাগো নিউজকে জানান, দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত বাতিল করতে অপরাগতা প্রকাশ করে আবেদনটি ফেরৎ দিয়েছে। এখন আমরা অন্য আদালতে এ বিষয়ে পুনরায় আবেদন করবো।

অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জাগো নিউজকে বলেন, মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানিতে আদালত সন্তোষ না হওয়ায় আবেদনটি ফেরৎ দিয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই। আগামী ২৭ অক্টোবর নিম্ন আদালতে এ বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ১ অক্টোবর এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সম্বনয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন।

কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদারের আদালতে। গত ৮ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

২০১৪ সালের ২১ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের এই মামলা করেন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের বিবরণে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে।

এফএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।