অবসরে গেলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী
নির্ধারিত বয়স পূর্ণ হওয়ায় অবসরে গেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ছিল তার কর্মদিবসের শেষ দিন।
বিচারপতির দীর্ঘ এ কর্মজীবনের বিদায় উপলক্ষে দুপুরে আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন তাকে বিদায় সম্ভাষণ জানান। এ সময় বক্তারা উচ্চ আদালতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর ১৫ বছরের কর্মময় জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনগণের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে মূল্যায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অন্য দুইটি অঙ্গের ঊর্ধ্বে নয়। তবে অন্য দুটি অঙ্গের কাজ সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা দেখা বা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের রয়েছে।’
অবসরে যাওয়ার মুহূর্তে এ বিচারক আরও বলেন, ‘একজন বিচারক তার প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষতার বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে আইনজীবীদের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারেন।’
মইনুল ইসলাম চৌধুরী সিলেট জেলার কোতয়ালী থানার বিলপার লামাবাজার গ্রামে ১৯৫৩ সালের ৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল ফাত্তাহ চৌধুরী ও মাতা রওনোক আরা বেগম।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৬৮ সালে এসএসসি এবং ১৯৭০ এইচএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ (ইংরেজি) এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮২ সালের ১৭ মার্চ সহকারী জজ হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
এরপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) হিসেবে ১৯৮৪-১৯৮৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সনের ১ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
এরপর মইনুল ইসলাম চৌধুরী ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার ঐতিহাসিক রায়সহ তাৎপর্যপূর্ণ অনেক আদেশ ও রায় প্রদান করেছেন।
এফএইচ/এফআর/এমকেএইচ