ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ
মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক মনিটর করতে একটি স্বাধীন কমিশন কেন গঠন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, গ্লাইফোসেট সমৃদ্ধ সকল কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং এর ব্যবহার থেকে সরে আসতে ৯০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রুলে গ্লাইফোসেট সমৃদ্ধ কীটনাশকের লাইসেন্স প্রদান এবং তা নবায়ন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্যও বলেছেন আদালত।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ- বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউিট, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউিটের পরিচালক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউিট, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএ) চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজোওয়ার। মামলার বাদীরা হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা); উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ); এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো); পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা); বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা); শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম (শিসউক) ও বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক)।
এফএইচ/এফআর/জেআইএম