আলোচনায় খালেদার জামিন ইস্যু ও এজলাসে হট্টগোল

মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক মুহাম্মদ ফজলুল হক , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশের বিচারাঙ্গনের ইতিহাসে ঘটনাবহুল বছর ২০১৯ সাল। এ বছরে এমন সব ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে ঘটেছে যা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আদালতে রুল জারি হয়েছে পরকীয়া আইন নিয়ে। মশার উপদ্রব ও ওষুধ ছিটানো নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ, নিয়োগ পাওয়া নয় অতিরিক্ত বিচারপতির শপথ, ওয়াসার পানি, জাহালমকাণ্ড, গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেলের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ এবং সবশেষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যুতে আপিল বিভাগের এজলাসে আইনজীবীদের হট্টগোল দেশবাসীর আগ্রহ-আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।

২০১৯-এর বিদায়ের লগ্নে ফিরে দেখা যাক সর্বোচ্চ আদালতের আলোচিত যত ঘটনা।

হাইকোর্টে অতিরিক্ত নয় বিচারপতি নিয়োগ

গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান নয় জন। ২১ অক্টোবর শপথ গ্রহণের দিন থেকে পরবর্তী দুই বছর এ নয় অতিরিক্ত বিচারপতি দায়িত্ব পালন করবেন।

অতিরিক্ত নয় বিচারপতিকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এখন মোট বিচারপতির সংখ্যা ১০০ জন। প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি রয়েছেন সাতজন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৮ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়।

পরকীয়ার আইন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

পরকীয়ার সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির (পেনাল কোড) ৪৯৭ ধারা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৮ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো স্ত্রী পরকীয়া করলে যার সঙ্গে পরকীয়া করবে শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে বা যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত হবেন, তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার পাবেন না।

রিটকারী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, এ আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক।

৫২ পণ্য নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ

পরীক্ষায় নিম্নমানের বলে প্রমাণ হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজার থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে নিতে গত ১২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলেন আদালত।

পরে ২৩ মে আদালত আদেশে জানান, নিম্নমানের ৫২ পণ্যের মধ্যে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বাজারজাত করতে চায় তাহলে বিএসটিআই থেকে পুনরায় মান পরীক্ষা করাতে হবে। মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর বিএসটিআই অনুমতি দিলে তা বাজারজাত করা যাবে।

দুধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ

বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধে ২৮ জুলাই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব দুধ ক্রয় ও মজুত করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়।

বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী এই ১৪ কোম্পানির উৎপাদিত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও ধাতব উপাদানের (সিসা) উপস্থিতি থাকায় আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা দেন।

বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

সকাল-বিকাল ঢাকার রাস্তায় পানি ছিটানোর নির্দেশ

উন্নয়নমূলক কাজের কারণে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাবলিতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সকাল-বিকাল রাস্তায় পানি দিতে গত ২৮ জানুয়ারি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা শহরে যারা বায়ুদূষণের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট।

ঢাকা সিটির বায়ুদূষণ রোধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ এফ নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

অতশত বুঝি না, আমরা চাই বিশুদ্ধ পানি

রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ওয়াসার পানিতে মল ও ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের দরকার বিশুদ্ধ পানি। আমরা অতশত বুঝি না, বিশুদ্ধ পানি চাই।’

পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও মলের অস্তিত্ব রয়েছে- এ সংক্রান্ত তথ্য উঠে আসার পর ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য বা ব্যাখ্যা কী? তা জানতে চেয়ে শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ কথা বলেন।

খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা

বিচারাধীন মামলার বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গত ১৬ মে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা তৈরি হলে ২১ মে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেনের সই করা আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সবসময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং বিচারকাজ প্রভাবিত করে- এমন সংবাদ পরিবেশন ও প্রচার প্রত্যাশিত নয়।

শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে বিব্রত হাইকোর্ট

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানায়, ওইদিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।

তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠন দাবি করে, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

১৩ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে ১১ সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি শবে বরাতের আগে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

এ অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাইকোর্টে আবেদন (৬ এপ্রিল চাঁদ দেখা গেছে মর্মে) করার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন হয়। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেন, এখন একেবারেই লাস্ট স্টেজ। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছি এবং এ অবস্থায় নতুন করে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। হলফনামার জন্য আমরা অনুমতি দিতে পারছি না।

অবশেষে মুক্ত জাহালম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাণ্ডে বিনা দোষে তিন বছর কারাভোগের পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি লাভ করেন পাটকল শ্রমিক জাহালম

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু দুদকের ভুলে সালেকের বদলে আটক হতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। তিন বছর তাকে কাটাতে হয় কারাগারে।

এ নিয়ে ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে জাহালম মুক্তি পান।

যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন, গ্রিন লাইন পরিবহনকে হাইকোর্ট

২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ ঘটনায় আদালতে রিট আবেদন হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। চলতি বছরের ১২ মার্চ রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১০ এপ্রিল রাসেলকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। এরপর ২২ মে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য ২৫ জুন পর্যন্ত সময় দেন আদালত।

কিন্তু গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ না করে ক্ষতিপূরণের অংক কমানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জুন আদালত আদেশে বলেন, রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকার বাকি ৪৫ লাখ টাকা গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতেই হবে। তবে, একসঙ্গে না দিয়ে নয় কিস্তিতে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে পরিশোধ করতে বলেন হাইকোর্ট।

গ্রিন লাইনের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ‘যারা আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার ফন্দিফিকির করে সরকার তাদের কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে তা আমরা দেখব। আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন। আপনাদের আচরণ কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।’

এজলাসে নজিরবিহীন হট্টগোল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে গত ৫ ডিসেম্বর নজিরবিহীন হট্টগোল হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় তা সেদিন আদালতে দাখিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ। সেজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় রাষ্ট্রপক্ষকে দোষারোপ করে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে হট্টগোল বাধান বিএনপির আইনজীবীরা।

এ অবস্থায় এজলাস থেকে নেমে যান প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ। এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সব কিছুর সীমা থাকা উচিত। আপনারা এজলাস কক্ষে যে আচরণ করেছেন, তা নজিরবিহীন।’

পরে এ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপির আইনজীবীদের দোষারোপ করেন। বিএনপির আইনজীবীরা দোষারোপ করেন রাষ্ট্রপক্ষকে।

খারিজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন

খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আশায় বিএনপির আইনজীবীরা মুখিয়ে ছিলেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিকে। এ নিয়ে ৫ ডিসেম্বরের ঘটনার পর ১২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য হয়।

১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ বলেন, যদি আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) প্রয়োজনীয় সম্মতি দেন, তাহলে মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের (বায়োলজিক এজেন্ট) জন্য পদক্ষেপ নেবে, যা বোর্ড সুপারিশ করেছে।

এফএইচ/এইচএ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।