নুরের ওপর হামলা, মামুন তূর্য ও শান্ত তিনদিনের রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদি হাসান শান্ত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাইনুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন তাদের শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে এবং পলাতক আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাদের পাঁচদিনে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্য ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) শাহবাগ থানার নীলক্ষেত পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করে। মামলা নং- ৩৪।
পুলিশের দায়ের করা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার আট আসামি হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম এবং মাহবুব হাসান নিলয়।
আসামিদের মধ্যে গতকাল সোমবার আটক হন দুজন। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদি হাসান শান্ত।
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডাকসু সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ৩৪ জন আহত হন।
ওই হামলায় নুরসহ আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি।
জেএ/এমএআর/এমএস