কী আছে খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে?
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ দুটি মামলার দণ্ড নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বুধবার (১১) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের কাছে এ প্রতিবেদনটি পাঠান বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। সেখানে তিনি খালেদা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গত ১০ ডিসেম্বর গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদনের পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদনও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিট রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর বিএসএমএমইউয়ের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এরপর ১০টা ২০ মিনিট থেকে শুনানি শুরু হয়।
এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত ১০ ডিসেম্বর গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন- চিকিৎসক শামীম আহমেদ, বদরুন্নেছা আহমেদ, তানজিমা পারভীন, চৌধুরী ইকবাল মাহমুদ, সৈয়দ আতিকুল হক, মো. ঝিলান মিয়া সরকার ও মো. ফরিদ উদ্দিন।
এই বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কফজনিত শ্বাসকষ্ট (কফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা), প্রতিস্থাপনজনিত হাঁটুতে ব্যথায় ভুগছেন। তার রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
তার গেঁটেবাতজানিত সমস্যা জটিল পর্যায়ে রয়েছে; ক্রমেই এর অবনতি হচ্ছে। এর নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা এখনও আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে চিকিৎসা চালু আছে, গত কয়েক দশকে তার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার গেঁটেবাতের জন্য প্রচলিত চিকিৎসা আর কাজ করছে না।
যে কারণে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানের এক ধরনের বায়োলজিক্যাল থেরাপি দেয়ার সুপিারিশ করা হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত (১১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে তার কাছ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ফলে তার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডান পায়ের ত্বকের নিচে এক ধরনের ছোট নডিউল আছে। এর জন্যও মেডিক্যাল বোর্ড একটি উন্নতমানের চিকিৎসার সুপারিশ করেছে; কিন্তু এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সম্মতি না থাকায় তাকে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও গত ৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। খালেদা জিয়াও চান মাঝে মাঝে এমন পরীক্ষা করানোর হোক।
তবে তার ক্ষুধামন্দার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ড তার জিআই অ্যান্ডোস্কপি করার পরামর্শ দিচ্ছে। এসব সমস্যার প্রেক্ষিতে যেসব ওষুধ প্রয়োগ করা প্রয়োজন তার জন্য খালেদা জিয়ার সম্মতির জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে।
এফএইচ/বিএ