খালেদার জামিন শুনানির আগের দিনই সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তা জোরদার
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির একদিন আগেই সুপ্রিমকোর্ট ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) খালেদার জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ, আশপাশ ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিতই পুলিশ সদস্যরা থাকে। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজ সুপ্রিম কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমানের মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন কথা বলতে পারব না, পরে ফোন দিয়েন।’
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে প্রেসক্লাবের দিক থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। তখন সুপ্রিম কোর্টের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানোর জন্য পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এরপর ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হৈ চৈ করেন দলটির আইনজীবীরা। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারক এজলাস ছেড়ে উঠে যান।
আরএম/এআর/এফএইচ/এফআর/পিআর