পিইসি থেকে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নিতে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব রুল জারি করেন।

এর আগে একটি দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর এ আদেশ দেন আদালত। প্রতিবেদনটি নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেন, ‘যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা অনুচিত। বহিষ্কার না করে অন্য উপায় অবলম্বন করা যেতে পারত।’

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গত রোববার থেকে শুরু হওয়ার পর সোমবার (১৮ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৫ শিশু বহিষ্কার হয়েছে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে এসব শিশুকে বহিষ্কার করা হয়।

জামিউল হক বলেন, ‘২০১০ সালের শিক্ষা নীতিমালায় এই পিইসি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ বা তাদের অধ্যয়নের বিষয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি। তাহলে কেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। তাদের অনৈতিক উপায় অবলম্বন করার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হলেও অনৈতিক উপায়টা কী ধরনের ছিল তা উল্লেখ করা হয়নি। শিশুদের কে বা কারা এসব কাজে উৎসাহিত করছে তা-ও খোঁজ নেয়া হয়নি। তাই কেন এসব শিশুকে বহিষ্কার করা হলো তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।’

এফএইচ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।