বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা সত্ত্বেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সেমিস্টার প্রতি ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকা করে জারিমানার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই জরিমানার টাকা বারডেম হাসপাতালে নিয়মিত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বার কাউন্সিলের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ফরম পূরণে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আসন্ন বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আজ বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মশিউজ্জামান। অন্যদিকে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ. এম. আমিন উদ্দিন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানি করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ. বি. এম. শাহজাহান আকন্দ মাসুম, নাহিয়ান ইবনে সুবহান, মো. মশিউর রহমান রিয়াদ, সাইফুল আলম, মেহেদী হাসান জুয়েল প্রমুখ।
এর আগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অভিযোগে দেশের প্রায় ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড না দিতে সিদ্ধান্ত জানায় বার কাউন্সিল। পরে বার কাউন্সিলের সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ভুক্তভোগী প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী পৃথক পৃথক রিট করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে বার কাউন্সিল থেকে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন মঞ্জুর করে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং আবেদনগুলোর ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেন। যার ধারাবাহিকতায় মামলাগুলো আজ (৩০ অক্টোবর) আপির বিভাগে শুনানি হয়।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম