‘লোকমানের নির্দেশনায় ক্যাসিনোতে বিক্রি হতো বিদেশি মদ’
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ক্যাসিনোতে অবৈধভাবে বিদেশি মদ, হুইস্কি তার নির্দেশনা মতে সরবরাহ করে বিক্রি করা হতো। এছাড়া তিনি রিমান্ডে অস্পষ্ট তথ্য দিয়েছেন।
দুদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) লোকমান হোসেনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুনরায় পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই কামরুল ইসলাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, লোকমানকে দুদিনের পুলিশ রিমান্ডে জব্দকৃত চার বোতল বিদেশি মদ হেফাজতে রাখা-সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লোকমানের নিয়ন্ত্রণাধীন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনোতে অবৈধভাবে বিদেশি মদ, হুইস্কি তার নির্দেশনা মতে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে বিক্রয় করা হতো।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনা-সংক্রান্ত কিছু অস্পষ্ট তথ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তার বিরুদ্ধে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁওয়ের মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে সময় র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোহামেডান ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন লোকমান। তার এ টাকা অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে রাখা আছে।
লোকমানের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ওই দুই ব্যাংকে তার ৪১ কোটি টাকা রয়েছে। ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার সুবাদে তিনি মাঝে মধ্যে সেখানে যান।
তাকে আটকের পর ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে। মামলা নম্বর ৪৫। এরপর তাকে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জেএ/আরএস/এমকেএইচ