কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
১৯৯০ সালের পর কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন (কাকসু) করতে না পারার ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রার, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই কলেজের ৫ শিক্ষার্থীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএইচ ইমাম হাসান।
আদালতে রিট আবেদন করা কারমাইকেল কলেজের ৫ শিক্ষার্থী হলেন- ওসমান গণি, মো.আবু নাঈম আলিফ, সাফায়েত রহমান, মো.তাহা ইয়াসিন দিপ্ত ও মো. সোহেল রানা প্রিন্স।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটিতে এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্সে বর্তমানে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (কাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর গত ২৯ বছরে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ছাত্র সংসদের ফান্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেয়া হয়। ইতোমধ্যে নির্বাচন চেয়ে শিক্ষার্থীরা সভা সমাবেশও করেছে।
গত ২৯ বছরে কর্তৃপক্ষ সুবিধাজনক সময় বের করে নির্বাচন করতে পারেনি। শুধুমাত্র চলতি বছরের ২৫ মার্চে একটি কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। জাকসু নির্বাচনেরও কার্যক্রমও নেয়া হয়েছে।
এফএইচ/আরএস/এমএস