বনানীর ধর্ষণ : দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য
রাজধানীর বনানীর আলোচিত দ্য রেইন ট্রি হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকার দুই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা হলেন- ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার ও খুরশীদ আলম। তারা আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।
আজ বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েসের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্যদিকে সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
এরপর ওই বছরের ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
একই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
জেএ/এসএইচএস/এমএস